লক্ষ্য নির্ধারণ তিন রকম হতে পারে :
১। স্বল্প মেয়াদী : এমন কোন লহ্ম্য যা কিছু সপ্তাহ অথবা মাসে অর্জন করা যায়।
২। মধ্যম মেয়াদী : এক অথবা দুই বছর সময় লাগতে পারে এমন কোন লক্ষ্য।
৩। দীর্ঘ মেয়াদী : ক্যারিয়ার প্লান, বাড়ি অথবা গাড়ি কেনা এই ধরনের লক্ষ্যগুলোকে দীর্ঘ মেয়াদী বলা হয়।
সঞ্চয়ী হোনঃ
ধরুন আপনি একটি ব্যবসায় শুরু করলেন, কিছুদিন পর দেখা গেল ব্যবসার জন্য যে টাকাটা আপনার দরকার সেটা আর জোগাড় করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় আপনি কাজ করার অনুপ্রেরণা হারাবেন আর কাজ করতেও ইচ্ছা করবে না। তাই অবশ্যই প্রতি মাসে আপনার উপার্জন থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করুন। সঞ্চয় থাকতে আপনি আত্নবিশ্বাস হারাবেন না কখনই নিজেকে সবসময় মোটিভেট রাখতে সঞ্চয়ী হওয়া খুব জরুরী।
ঋণকে না বলুনঃ
নিঃসন্দেহে যে সব মানুষ অনেক বেশি ঋণ নিয়ে থাকেন তারা হতাশায় ভোগেন বেশি। কারণ তাদের উপার্জনের সিংহভাগই চলে যায় ঋণ পরিশোধ করতে। তাই খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কখনই ঋণ নেবেন না।
ইতিবাচক মানুষের সাথে থাকুনঃ
আরে ধুর, তোকে দিয়ে হবে না। বাদ দে, তুই পারবি না। এই ধরনের নেতিবাচক কথা বলা মানুষের থেকে সব সময় দূরত্ব বজায় রাখুন। পজেটিভ চিন্তার মানুষ বেস্ট মোটিভেটর হয়। যখনই আপনার মনে কোন নেতিবাচক চিন্তা আসবে, এমন একজন পজেটিভ চিন্তা-ভাবনার মানুষের সাথে কথা বলবেন যে আপনার আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। তাই সবসময় চেস্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করে এমন মানুষের সাথে থাকতে।
ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুনঃ
ভুল আমাদের জীবনের খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কম বেশি , জেনে বা না জেনে ভুল আমরা সবাই করি । এটা খারাপ কিছু নয়, স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যাটি তখনই হয় যখন আমরা ওই ভুল থেকে শিক্ষা না নিই। পৃথিবীতে যত সফল মানুষ আছেন বা ছিলেন সবার মধ্যে একটা মিল আছে। সেটা হচ্ছে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া। পৃথিবীতে কোন মানুষই ১০০% সঠিক না । ভুল মানুষ করবেই । যারা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে তারাই সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাকে না বলুনঃ
সবসময় অতিরিক্ত চিন্তা করলে নেতিবাচক দিকগুলোই সামনে আসবে। আমরা সবাই জানি যে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কিন্তু এর মানে শুধু এই না যে আমরা যা চাচ্ছি ভবিষ্যতে তার চেয়ে খারাপ কিছুই অপেক্ষা করছে। আগামীকাল কি হবে সেটা ভেবে আজকের দিনটা কেন নষ্ট করছেন?
এমনটাও হতে পারে যে, ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এত ভাল কিছু অপেক্ষা করছে, যা আমরা কখনো চিন্তাও করিনি। তাই ভবিষ্যতে ভাল কিছুই হবে এই চিন্তা মাথায় রেখে এগুতে হবে।
মেডিসিন এ নোবেলজয়ী ডক্টর Dr.Alexiএকটি কথা বলেন, কথাটা ছিল অনেকটা এ রকম “যে ব্যবসায়ী জানে না কিভাবে দুশ্চিন্তার সাথে যুদ্ধ করতে হয়, সে যুবক অবস্থাতেই মারা যায়।
সুখী থাকতে শিখুনঃ
সমস্যা সবার জীবনেই থাকে কিন্তু তার মানে এই না সেই সমস্যার কথা ভেবে আপনাকে হতাশ হতে হবে। হতাশা, দুশ্চিন্তা কখনই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। যত বেশি সমস্যা নিয়ে ভাববেন, ততই নিরাশ হবেন। আপনার এমন হতে পারে আপনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন, আপনার চাকুরী চলে গিয়েছে কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আপনার জীবন কিন্তু শেষ হয়ে যায় নি। এই চিন্তাটাই আমরা করি না। তাই যা হয়েছে সেটা কে মেনে নিন। তাতে আপনি এই পরিস্থিতিটা কে সহজেই জয় করতে পারবেন।
প্রতিটা দিনের পরিকল্পনা করুনঃ
আপনার মোটিভেশন কে ধরে রাখতে প্রতিটা দিনের পরিকল্পনা করুন। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রতিটা দিনের পরিকল্পনা আপনার লক্ষ্য অর্জনে অনেক বেশি সহায়ক হবে। রাতে ঘুমানোর আগে মাত্র ১৫ মিনিট ব্যয় করুন সারা দিনের পরিকল্পনা করতে।
এটি শুধুমাত্র আপনার একটি খসড়া পরিকল্পনা যেন আপনি কি কি করবেন সারাদিন তা মনে রাখতে পারেন। এমন যেন না হয় যে আপনি ঘর থেকে বের হলেন আর আপনি জানেন না যে কোথায় যাবেন আর কি করবেন।