দাম কমলো স্লিন্ডার গ্যাসের কিছুটা সস্তি মিলবে স্লিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারীদের জন্য। ভোক্তা পর্যায়ে ১৯ টাকা কমিয়ে ১২ কেজির বোতলজাত এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
চলতি মাসের জন্য ঘোষণা করা হয় এই দর। সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর যা হবে।
পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দর। সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২৫ টাকা।
কম দামের সরকারি এলপিজির হরিলুট নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিল যমুনা টেলিভিশন।
গত এপ্রিলে ১২ কেজির বোতলজাত এলপিজির দর ছিল ১ হাজার ৪৫০ টাকা।
অন্যদিকে চলতি মাসে অটোগ্যাসের দাম লিটারে ৮৪ পয়সা কমিয়ে ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
যা গেল মাসে ছিল ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা।
এলপিজির দর সমন্বয়ের তথ্য জানাতে রোববার বিকালে কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। চলতি মাসের দর ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
এপ্রিল মাসে ছিল ১৪৫০ টাকা। এটি মে মাসে হবে ১৪৩১ টাকা।
কেজি প্রতি দর মূল্য হবে যেটা ১২০ টাকা ৮০ পয়সা ছিল, এটি হবে ১১৯ টাকা ২৪ পয়সা।
আর অটোগ্যাস যেটা ছিল ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা, সেটি হবে ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা।
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা জানান। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যেটি ৬৯০ টাকা ছিল, সেটি ৮২৫ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই মূল্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
বেসরকারি এলপি গ্যাস যেটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায় বা ১৪৩১ টাকায়, সরকারি এলপি গ্যাসের মূল্য এখানে ছিল ৬৯০ টাকা। এই যে বিশাল মূল্যের যে পার্থক্য, এই পার্থক্যের বেনিফিট ভোক্তা পাচ্ছে না। এটা ছিল বড় অভিযোগ।
এখানে যেটা বাড়তি আয় যেটা হবে, এটা একটা সরকারি কোম্পানিতেই যাবে।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি।
প্রতি মাসে প্রোপেন ও বিউটেনের সৌদি কার্গো মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে সরকারের সংস্থাটি। এই নির্ধারিত প্যারামিটারগুলির উপরেই কিন্তু মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে এলপিজির।
শাকিল হাসান, যমুনা নিউজ, ঢাকা।